১৩ আগস্ট প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে তার সরকার ব্যাপক রাজনৈতিক সংস্কারের কাজ করছে। গত বছরের আগস্টে সরকার পতনের পর এটি হবে দেশের প্রথম নির্বাচন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কারচুপি ও অপব্যবহারের সংস্কৃতি ছিল, যা পরিবর্তনে তারা প্রায় শেষ ধাপে পৌঁছে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত আশ্রয়ের প্রসঙ্গও তোলেন। তার দাবি, বাংলাদেশ হাসিনাকে ফেরত চাইলেও ভারত প্রত্যর্পণের অনুরোধ মেনে নেয়নি, ফলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছেন, হাসিনাকে রাখতে তারা আপত্তি করবেন না, তবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।
ড. ইউনূস আরও বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে তারা সব দেশের সঙ্গেই বিনিয়োগবান্ধব সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তান ও চীনের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে তারা আগ্রহী। তার ভাষায়, এটি কোনো দেশের জন্য বিশেষ সুবিধা নয়, বরং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের প্রচেষ্টা।