জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রদলের পূর্বঘোষিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের স্থান পরিবর্তনের ঘটনা নিয়ে সংগঠনের ভেতরে ও নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৫ আগস্ট), বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে— এই আয়োজন করার কথা থাকলেও; বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে শেষ মুহূর্তে সেটি বাতিল করে, বিকল্প স্থানে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সংগঠনটির একাধিক সূত্র জানায়, শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক, সদস্য সচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতা; যাদের ‘সুপার ফাইভ’ বলা হয়, বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের চাপে বিগত এক সপ্তাহ হতে ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন। অভিযোগ রয়েছে, গত ৮ আগস্ট ঘোষিত বর্ধিত আহবায়ক কমিটি, ও নবগঠিত হল কমিটিতে ছাত্রলীগ, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, মামলার আসামি ও বহিষ্কৃতদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মীরা শীর্ষ নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয়।
ফলে শুক্রবারের পূর্বনির্ধারিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল কেন্দ্রীয় মসজিদে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ফলস্বরূপ, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব আবাসিক হলগুলোর মসজিদে পৃথকভাবে দোয়া মাহফিল আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন, সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী।
শাখা ছাত্রদলের এক সদস্য অভিযোগ করে বলেন, "শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সংগঠনটি, আজ কিছু স্বার্থান্বেষী নামধারী জাতীয়তাবাদীর হাতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছে। আহবায়ক ও সদস্য সচিব সংগঠনকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মত ব্যবহার করছেন এবং তাদের ঘনিষ্ঠ অনুগত বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিটিতে স্থান দিয়েছেন।"
তিনি এই পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, "প্রকৃত জাতীয়তাবাদী কর্মীরা এই সব ‘নামধারী জাতীয়তাবাদীদের’ প্রতিরোধ করবে।"
অন্যদিকে আহবায়ক কমিটির সদস্য আতিকুজ্জামান আতিক বলেন, "বর্ধিত আহবায়ক কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করায়, জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান ধরে রেখেছে। তিনি দ্রুত এই কমিটি বাতিলের দাবি জানান এবং সতর্ক করে বলেন, আমাদের দাবি মানা না হলে কঠিন থেকে কঠিনতম কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।"