সংবাদপত্রটি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের কথোপকথনের সঙ্গে পরিচিত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছে, 'ভ্লাদিমির, তুমি কি মস্কোতে আক্রমণ করতে পারবে? তুমি কি সেন্ট পিটার্সবার্গেও আক্রমণ করতে পারবে?'
এর কিছুক্ষণ আগে ওয়াশিংটন পোস্ট একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে, সেখানেও একই কথা উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কেন জেলেনস্কি রাশিয়ার রাজধানীতে আক্রমণ করছে না।
ওয়াশিংটন পোস্ট উল্লেখ করেছে, জেলেনস্কি অস্ত্র চেয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।
ফিনান্সিয়াল টাইমসের সূত্র আরও জানিয়েছে, ট্রাম্প এই ধরনের হামলাকে 'রাশিয়ানদের কষ্ট দেওয়ার' এবং 'তাদের আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করার' কৌশলের অংশ হিসাবে দেখেন।
এদিকে, গতকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট মস্কোকে শান্তি চুক্তি সম্পাদনের জন্য ৫০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
শর্তাবলী পূরণ না হলে তিনি রাশিয়ান পণ্য আমদানির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। সেই সঙ্গে রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস এবং অন্যান্য জ্বালানি সম্পদ ক্রয়কারী দেশগুলোর ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপেরও হুমকি দিয়েছেন।
একই সময়ে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিয়েভে আমেরিকান অস্ত্র পাঠানোর জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। তবে এর খরচ ইউরোপ বহন করবে। ভবিষ্যতের সরবরাহে কেবল ক্ষেপণাস্ত্র নয়, প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
অপরদিকে, ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এই কথাগুলো খুবই গুরুতর, রাশিয়ার এ নিয়ে বিশ্লেষণের জন্য সময় প্রয়োজন। তার মতে, ভ্লাদিমির পুতিন যদি এটি প্রয়োজনীয় মনে করেন, তাহলে তিনি ট্রাম্পের কথার ওপর মন্তব্য করবেন।