চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত যোগ্য ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা, নেতা বানানোর প্রতিষ্ঠান নয়। তিনি বলেন, “আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে তখনই, যখন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজে অবদান রাখতে সক্ষম যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি হবে। বিশ্ববিদ্যালয় নেতা তৈরির কারখানা নয়, বরং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কেন্দ্র।”
শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় চবি আইন অনুষদ মিলনায়তনে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চবি শাখার আয়োজিত নবীনবরণ ও হল ছাত্রসংসদে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইমেজ উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করলেই যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি সম্ভব। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ও সমাজ—উভয়ই উপকৃত হবে।”
ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, “আপনারা যারা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন, তারা শুধু পাহাড়ি শিক্ষার্থীর নয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি। নিজেদের শুধুমাত্র পাহাড়ি পরিচয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে ‘বাংলাদেশি’ পরিচয়কে অগ্রাধিকার দিন। দেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি বুঝে সম্মান জানানোই প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচায়ক।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনমুন নেছা চৌধুরী।
পিসিপির চবি শাখার সভাপতি ভূবন চাকমার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমার সঞ্চালনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহেল চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক রোনাল চাকমা, ডাকসুর নির্বাহী সদস্য হেমা চাকমা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ছাত্রনেতারা।
ডেস্ক রিপোর্ট