ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, বিদেশি কোনো চাপের কাছে দেশটি মাথানত করবে না এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে—এই মর্মেই তিনি জাতিসংঘে ও দেশের ভেতরে করা কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা আলোচনা প্রসঙ্গের সাদরে এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
জাতিসংঘে আলোচনার পরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্রদের ‘অযৌক্তিক ও অসম্ভব’ দাবিগুলোই নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে সমাধান ব্যর্থের পেছনে রয়েছে; তার মতে, তেহরান যুক্তিসংগত প্রস্তাব দিয়েছিল যা কিছু ইউরোপীয় কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন, কিন্তু পশ্চিমাদের ভিন্ন রোফ লেজে সমঝোতা ব্যাহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জাতীয় কুস্তি দলের সম্মাননা অনুষ্ঠানেও একই রীতির বক্তব্য দেন—অবরোধ ও চাপ সত্ত্বেও ইরানকে আত্মসমর্পণ করতে দেয়া হবে না এবং নিজস্ব শক্তির ওপর নির্ভর করেই দেশের লক্ষ্য পূরণ করবে বলে তিনি জোর দিয়ে বলেন। এই মন্তব্য বিশ্বমঞ্চে ইরান-পশ্চিম সম্পর্কের বর্তমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এসেছে।
অন্যদিকে বাগদাদে ইরানি প্রতিনিধিদল ও ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাসেম আল-আরাজির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং প্রতিবেশী ভূখণ্ড কোনো আক্রমণের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার না হওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে; ইরাকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে তাদের ভূখণ্ডই কোনো প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে আক্রমণের ঘাঁটি হবে না। বৈঠকটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও কৌশলগত সমঝোতার একটি অংশ হিসেবে চালানো হয়েছে।
তারপরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপই যদি থাকতে থাকে, তেহরান তার কূটনৈতিক আচরণ, মিত্রশক্তির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ আত্মনির্ভরতার ওপর জোর দিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করবে—এই রূপরেখা ইরানের নেতা ও কূটনীতিকরা বারবার পুনঃবক্তব্য করেছেন। দেশের সরকারি বিবৃতিতে তারা পুনরায় বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞা ‘অবৈধ’ বা ‘অযৌক্তিক’ বলে বিবেচিত হলে তেহরান তার স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া নেবে।