গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, বেতন বন্ধ হওয়া দুই শিক্ষক হলেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর হাসান মুহাম্মদ রোমান শুভ এবং ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রন্টু দাশ। আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মুহাম্মদ রোমান শুভর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে–বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পতন হওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকাণ্ড ও ২৪–এর গণহত্যাকে সমর্থন দেওয়া এবং ফ্যাসিস্টদের দোসর হিসেবে কাজ করা। এছাড়া প্রক্টর থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্যাম্পাসের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ ছাত্রদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে।
অন্যদিকে, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রন্টু দাশের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে চবির দুই ছাত্র হত্যার সম্পৃক্ততায় অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কথাও জানা গেছে।
গণমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, রন্টু দাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার শর্ত পূরণ না করেই স্নাতকে সিজিপিএ ২.৯৪ নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০১১ সালে অস্ত্র আইনে পুলিশের করা এক মামলায়ও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি পৃথক কমিটি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে আরও একটি কমিটি গঠন করা হলেও তার ফলাফলও একই এসেছে। তাই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গত এক বছর ধরে তারা বিভাগে কোনো ক্লাস নিচ্ছেন না। এ কারণে সিন্ডিকেট সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে তাদের বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং একই সঙ্গে নতুন করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।