ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র হাইতিতে একাধিক গ্যাং হামলায় অন্তত ৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গত সপ্তাহে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তরাঞ্চলে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা দেশটির সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহতম গণহত্যার অন্যতম বলে জানিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা।
জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক (আরএনডিডিএইচ) সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে জানায়, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর সংঘটিত হামলার পর বহু নিহতের মরদেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অনেক মরদেহ ঝোপে পড়ে আছে এবং বেওয়ারিশ কুকুর তা ছিঁড়ে খাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
হাইতি দীর্ঘদিন ধরেই সহিংসতায় বিপর্যস্ত। রাজধানী ও আশপাশের অঞ্চলগুলো সশস্ত্র গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে গ্যাং জোটের সশস্ত্র হামলা বাড়তে থাকায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। যদিও পরবর্তীতে কেনিয়ার নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়, তবুও সহিংসতা দমন সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ‘ভিভ আনসানম’ নামের গ্যাং জোট নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা ৫০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করার পাশাপাশি বহু বাড়িঘরে আগুন লাগায়। বেঁচে যাওয়া কিছু মানুষ আশপাশের এলাকায় পালিয়ে গেছেন, কেউ কেউ আবার নৌকায় করে সমুদ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্প্রতি সতর্ক করেছেন যে, হাইতিতে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে। তার মতে, রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স ছাড়াও সহিংসতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং বর্তমানে প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।