মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে মারজান দাবি করেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় এজেন্ট তালিকা জমা ও ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র নেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বরং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “কমিশনের অনুমোদিত কার্ড থাকা সত্ত্বেও আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।”
মারজান উদাহরণ দিয়ে বলেন, ইউল্যাব কেন্দ্রে সকাল ৮টার আগেই ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পাঁচজন এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়। অথচ বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও ইশা সমর্থিত কোনো এজেন্টকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। একাধিকবার প্রশ্ন করলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সঠিক কারণ জানাননি বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আমরা আগে থেকেই শঙ্কা করেছিলাম যে কমিশনের কিছু সদস্য পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করতে পারেন। আজকের ঘটনাই তার প্রমাণ। যদি আমাদের এজেন্টদের প্রবেশ করতে না দেওয়া হয় এবং নির্বাচন স্বচ্ছ না হয়, শিক্ষার্থীরা এর জবাব দেবে।”
প্রায় ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলছে। এবার ২৮টি কেন্দ্রীয় পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।