আন্তর্জাতিক গণিত ও জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে পদকজয়ী দেশের ছয় শিক্ষার্থী সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং সমস্যাগুলোও অবহিত করেন।
অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী শিক্ষার্থীরা হলেন— সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরিজ আনাস, নটর ডেম কলেজের হা-মিম রহমান, মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ফারাবিদ বিন ফয়সাল, চট্টগ্রাম বাকলিয়া সরকারি কলেজের জিতেন্দ্র বড়ুয়া, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জাওয়াদ হামীম চৌধুরী এবং ময়মনসিংহ জেলা স্কুলের তাহসিন খান।
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও সাফল্যে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। “তোমাদের আগ্রহ ও পরিশ্রম থেকে আমরা নতুন অনুপ্রেরণা পেলাম,” মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারসহ গণিত ও জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেও আর্থিক সীমাবদ্ধতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক ক্ষেত্রেই আয়োজন, প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার খরচ স্বেচ্ছাসেবক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বহন করতে হয়।
অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, এ বছর সারাদেশ থেকে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম রাউন্ডে অংশ নেয়, সেখান থেকে ধাপে ধাপে বাছাই করে ছয়জনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাঠানো হয়। আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের জন্য তাদের কঠোর প্রস্তুতি নিতে হয়েছে।
বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি ড. রাখহরি সরকার জানান, প্রথম ধাপে ১০ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়, শেষে চারজনকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাঠানো হয়। তবে সব ব্যয় স্বেচ্ছাসেবকদের চাঁদা ও সীমিত পৃষ্ঠপোষকতায় মেটাতে হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, স্বেচ্ছায় এমন উদ্যোগ গ্রহণ প্রশংসনীয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে এবং উৎসাহিত করতে সরকার কী ধরনের সহায়তা দিতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হবে।