ফিলিস্তিনের গাজা শহর পুরোপুরি দখলের লক্ষ্যে প্রায় ৬০ হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে সেনাদের একটি অংশ এ অভিযানে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাল রিজার্ভ সৈন্যরা।
ইসরায়েলি দৈনিক টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, এ পর্যন্ত ৩৬৫ জন রিজার্ভ সৈন্য ঘোষণা করেছেন যে, সেনাবাহিনীর তলব সত্ত্বেও তারা যুদ্ধে যোগ দেবেন না। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তেল আবিবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস ম্যাক্স ক্রেশ বলেন, “আমরা নেতানিয়াহুর অবৈধ যুদ্ধে অংশ নিতে চাই না। বরং জনগণের প্রতি নেতাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করাই আমাদের দেশপ্রেমিক কর্তব্য।”
প্রসঙ্গত, গত আগস্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদনের পর সেনাবাহিনী জরুরি নির্দেশনা (অর্ডার–৮) জারি করে রিজার্ভ সদস্যদের ডাকতে শুরু করে। এর পাশাপাশি নিয়মিত সেনাদের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গাজায় নতুন করে চালানো হবে “সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যভিত্তিক” সামরিক অভিযান। ইতোমধ্যে সৈন্য একত্রিতকরণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা দখল পরিকল্পনা প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, তুরস্ক, সৌদি আরব এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র নেতানিয়াহুকে এ পরিকল্পনা স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু এসব সমালোচনা উপেক্ষা করে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো সতর্ক করেছে যে, এ অভিযান গাজায় চলমান মানবিক সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে। এরই মধ্যে বহু এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, সাধারণ মানুষ বারবার বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন এবং খাদ্যাভাবের কারণে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।