মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে মেরিল্যান্ডের বেথেসডায় তার বাসভবন এবং ওয়াশিংটন ডিসির অফিসে এ অভিযান চালানো হয়। গোপন নথি সংক্রান্ত তদন্তের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি পরিচালিত হয়েছে বলে জানিয়েছে এপি।
প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেলের নির্দেশে সকাল ৭টার দিকে কর্মকর্তারা বোল্টনের বাড়ি ও অফিসে প্রবেশ করেন। যদিও বোল্টনকে আটক করা হয়নি এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও আনেনি এফবিআই।
অভিযান চলার সময় বোল্টনকে ওয়াশিংটনে তার অফিস ভবনের লবিতে এফবিআই লেখা জ্যাকেট পরা দুই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পরে তিনি ওপরের তলায় চলে যান।
উক্ত কর্মকর্তা আরও জানান, গোপন নথি নিয়ে তদন্তটি বেশ আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। তবে বাইডেন প্রশাসন রাজনৈতিক কারণে তা বন্ধ করে দেয় বলে দাবি করেন তিনি।
এফবিআইয়ের তল্লাশির ব্যাপারে বোল্টন, হোয়াইট হাউস ও তার আইনজীবীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিচার বিভাগও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টে বোল্টনের বাড়িতে এফবিআই তল্লাশির খবর ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন বিরোধীদের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাম্প-রাশিয়া তদন্ত কে অনুমোদন দিয়েছিলেন সে বিষয়ে গ্র্যান্ড জুরি তদন্তের নির্দেশনা। একইসঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর অ্যাডাম শিফ ও নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমসের বিরুদ্ধেও বন্ধকী জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। তবে তারা আইনজীবীদের মাধ্যমে যেকোনো অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জন বোল্টনও তদন্তের আওতায় আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ট্রাম্প তার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়ে ‘ইতিমধ্যেই প্রতিশোধের পথে হেঁটেছেন’। বোল্টনের দাবি, “ট্রাম্প প্রতিশোধমূলক শাসন চালাচ্ছেন।