জাহিদুল ইসলাম বলেন, “গত জুলাইয়ে অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে আমরা দ্বিতীয় বর্ষে পৌঁছেছি। জাতির উন্নয়নে শিক্ষা এখনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। তবে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট ও কার্যকর পরিকল্পনা না থাকার কারণে আমরা হতাশ। শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও নৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পুনর্গঠন এখন সময়োপযোগী ও অত্যাবশ্যক। তাই ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিস্তারিত প্রস্তাবনা পেশ করা হল, যা কার্যকর উদ্যোগের পথ সূচক হবে।”
প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষা কমিশন গঠন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তকরণ, ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সমন্বয়, বহুমাত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রাধিকার, ভাষা শিক্ষা, সামরিক ও শারীরিক শিক্ষা, শিক্ষাবাজেট করণীয়, আনন্দদায়ক স্কুলিং ব্যবস্থা প্রবর্তন, বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষা আইন প্রণয়ন, স্বাধীন নিয়োগ কমিশন, নারী শিক্ষার প্রসার, শিক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ছাত্রদের আবাসন ব্যবস্থা, মানসিক স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষার্থী বান্ধব শিক্ষাঙ্গন, যোগ্য ব্যক্তির অগ্রাধিকার, গবেষণামুখী উচ্চশিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা মানোন্নয়ন, মূল্যায়ন পদ্ধতির সংস্কার, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন, চাকরিতে সমান সুযোগ, ছাত্ররাজনীতি ও নিয়মিত ছাত্র সংসদের আয়োজন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মূলধারায় গ্রহণ, বেকারত্ব হ্রাসে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষা উন্নয়নসহ অভিভাবক অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা।
এছাড়া, বক্তব্যে তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছেন, যারা দমন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, বিশেষ করে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে যারা এ নতুন বাংলাদেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
সমগ্র প্রস্তাবনা শিক্ষাব্যবস্থায় একটি সামগ্রিক ও টেকসই সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এসব পরিবর্তন সফল হলে সারা দেশের সামগ্রিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।