ইসলামী ছাত্রশিবির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করলো শিক্ষা সংস্কারের ৩০ দফা প্রস্তাবনা

আপলোড সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ১১:০৩:২৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ১১:০৩:২৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য মোট ৩০ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে, যা পাঠ্যক্রম, শিক্ষানীতি, উচ্চশিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন, দক্ষতা উন্নয়নসহ শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিককে স্পর্শ করে। এই প্রস্তাবনাগুলো দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিককরণ ও সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ১৪ আগস্ট বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাবনাগুলো বিস্তারিত তুলে ধরেন।
 
জাহিদুল ইসলাম বলেন, “গত জুলাইয়ে অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে আমরা দ্বিতীয় বর্ষে পৌঁছেছি। জাতির উন্নয়নে শিক্ষা এখনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। তবে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট ও কার্যকর পরিকল্পনা না থাকার কারণে আমরা হতাশ। শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও নৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পুনর্গঠন এখন সময়োপযোগী ও অত্যাবশ্যক। তাই ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিস্তারিত প্রস্তাবনা পেশ করা হল, যা কার্যকর উদ্যোগের পথ সূচক হবে।”
 
প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষা কমিশন গঠন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তকরণ, ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সমন্বয়, বহুমাত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রাধিকার, ভাষা শিক্ষা, সামরিক ও শারীরিক শিক্ষা, শিক্ষাবাজেট করণীয়, আনন্দদায়ক স্কুলিং ব্যবস্থা প্রবর্তন, বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষা আইন প্রণয়ন, স্বাধীন নিয়োগ কমিশন, নারী শিক্ষার প্রসার, শিক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ছাত্রদের আবাসন ব্যবস্থা, মানসিক স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষার্থী বান্ধব শিক্ষাঙ্গন, যোগ্য ব্যক্তির অগ্রাধিকার, গবেষণামুখী উচ্চশিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা মানোন্নয়ন, মূল্যায়ন পদ্ধতির সংস্কার, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন, চাকরিতে সমান সুযোগ, ছাত্ররাজনীতি ও নিয়মিত ছাত্র সংসদের আয়োজন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মূলধারায় গ্রহণ, বেকারত্ব হ্রাসে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষা উন্নয়নসহ অভিভাবক অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা।
 
এছাড়া, বক্তব্যে তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছেন, যারা দমন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, বিশেষ করে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে যারা এ নতুন বাংলাদেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
 
সমগ্র প্রস্তাবনা শিক্ষাব্যবস্থায় একটি সামগ্রিক ও টেকসই সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এসব পরিবর্তন সফল হলে সারা দেশের সামগ্রিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]