গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি সংঘর্ষের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত, যেখানে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ইসরায়েল সামরিক পদক্ষেপ জোরদার করেছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ধরা পড়া সামরিক সরঞ্জাম ও বাহিনীর তৎপরতা ইঙ্গিত দেয় যে, ইসরায়েল পুরো গাজাকে দখল করার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল প্রণয়ন করেছে। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, ট্যাংক, বুলডোজার এবং অন্যান্য সামরিক যান ক্রমাগত সীমান্তে আনা হচ্ছে, যা স্থল অভিযানকে সক্রিয় করার লক্ষণ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইসরায়েল গাজার বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে উত্তরের দিকে হামাসের ঘাঁটিতে আঘাত হানার পরিকল্পনা নিচ্ছে, যেখানে গত কয়েক বছরে নানামাত্রিক সংঘাত হয়েছে। এই পরিবেশে রিজার্ভ ফোর্স ডকার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের সামরিক প্রস্তুতির মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। তবে গাজার ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও সামরিক অভিযান আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দা ও উদ্বেগ তৈরি করেছে, যা ইসরায়েলকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি পাঁচটি দেশ—অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইতালি, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য—ইসরায়েলের গাজা দখল পরিকল্পনাকে নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘও গাজাকে পূর্ণভাবে দখল করাকে ভূ-রাজনৈতিক বিপর্যয়ের আভাস হিসেবে দেখছে। এসব প্রসঙ্গ বিবেচনায়, ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ কেবল স্থানীয় নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।