সূরা কাহফ (Surah Al-Kahf) হলো কুরআনের ১৮ নম্বর সূরা। এতে রয়েছে ঈমান, ফিতনা, ধৈর্য, আল্লাহর রহমত ও কিয়ামতের শিক্ষা। বিশেষ করে জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল—যা বহু সহিহ হাদিসে প্রমাণিত।
হাদিসসমূহ ও ফজিলত:
১. জুমার দিনে নূর (আলো) লাভ:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত একটি নূর (আলো) সৃষ্টি হবে।"
—(সুনান আল-দারিমি: ৩৪০৭, হাদিস সহিহ)
অর্থাৎ, এটি তাকে আলোকিত রাখবে—পাপ থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।
২. দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা:
হযরত নবী কারীম (সা.) আরও বলেছেন:
"যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ রাখবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।"
—(সহিহ মুসলিম: ৮০৯)
আর অন্য বর্ণনায় এসেছে:
"সূরা কাহফের শেষ দশ আয়াত দাজ্জালের বিপদ থেকে রক্ষা করবে।"
—(মুসলিম, হাদিস: ৮০৯)
এতে বোঝা যায়, দাজ্জালের ভয়াবহ ফিতনা থেকে বাঁচতে সূরা কাহফ নিয়মিত পড়া এবং মুখস্থ রাখা দরকার।
৩. কিয়ামতের আলো:
"যে ব্যক্তি সূরা কাহফ তিলাওয়াত করে, কিয়ামতের দিন তার জন্য এক আলো হবে, যা মক্কা থেকে মদীনা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে।"
—(হাকিম, মুস্তাদরাক: হাদিস ৩৩৯২ - সহিহ হিসেবে গ্রহণযোগ্য)
কখন পড়া উত্তম?
-
জুমার দিন ফজরের পর থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় তিলাওয়াত করা যায়।
-
তবে অনেকে জুমার নামাজের আগেই পড়ে থাকেন, যেহেতু এটি জুমার দিনের আমল।
কিছু উপকারিতা (সারসংক্ষেপে):
-
পাপ মোচন হয়
-
দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা
-
দুই জুমার মাঝে নূর বা আলো
-
কিয়ামতের দিন আলোকিত পথ:
প্রতি জুমার দিন এই আমলটি নিয়ম করে গ্রহণ করুন। যদি পুরো সূরা কাহফ পড়তে সময় না পান, অন্তত প্রথম বা শেষ ১০ আয়াত মুখস্থ ও তিলাওয়াতের চেষ্টা করুন।