মোসাদের সরাসরি উপস্থিতি ও নিরাপত্তা হুমকি:
অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মোসাদ এজেন্টরা নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে সক্রিয় রয়েছে, যেখানে আইসিসির সদর দপ্তর অবস্থিত।
করিম খানের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যেহেতু তিনি ইসরায়েলি নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছেন ।
হুমকির পরপরই করিম খানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মিথ্যা অভিযোগ সামনে আনা হয়, যা আইসিসি সূত্রে একটি "ব্ল্যাকমেইল ট্যাকটিক" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
একটি বার্তায় সরাসরি বলা হয়: “নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাদ দাও, নয়তো শেষ করে দেবো।”
এছাড়াও, একজন ব্রিটিশ-ইসরায়েলি আইনজীবী খানের সাথে দেখা করে একটি অনুমোদিত আপস প্রস্তাব পেশ করেন, যা ইসরায়েলি পক্ষের চাপের আরেকটি প্রমাণ ।
করিম খান ও তার দল এই হুমকিকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নতুন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আইসিসি ইসরায়েলের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
Middle East Eye (MEE)এই সংক্রান্ত একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা ইসরায়েলি চাপের কৌশল ও আইসিসির জবাবকে বিশদভাবে তুলে ধরেছে।
MEE-কে একটি বাম-ঘেঁষা সংবাদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা প্রায়শই পশ্চিমা সরকারগুলোর নীতির সমালোচনা করে থাকে ।
এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক আইনের মর্যাদা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হস্তক্ষেপের মধ্যে একটি বড় ধরনের সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আইসিসি যদি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এটি একটি ঐতিহাসিক মামলায় পরিণত হতে পারে, যা বিশ্বজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করবে।