নিউইয়র্কের গভর্নর, সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস, পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশসহ পুলিশ বিভাগের হাজারো কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন শেষ বিদায়ের এই আয়োজনে। এনওয়াইপিডি কমিশনার বলেন, “দিদারুল নিজের জীবন দিয়ে অন্যদের রক্ষা করেছেন। তিনি এক নিঃস্বার্থ বীর।”
দিদারুলের মরদেহ নেওয়া হয় পার্কচেস্টার জামে মসজিদে, যেখানে তার জানাজায় অংশ নেন হাজারো মুসল্লি। জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয় নিউ জার্সির টোটোওয়া ইসলামিক কবরস্থানে।
সোমবার রাতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউতে এক বহুতল ভবনে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল। ওই ঘটনায় আরও চারজন নিহত হন।
দিদারুলের পরিবারের জন্য একটি সহায়তা তহবিল গঠন করা হয়েছে। এতে এরই মধ্যে ৬৫ হাজার ডলারের বেশি অর্থ জমা পড়েছে।
দিদারুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেন।
নিউইয়র্কের রাস্তায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিদারুল প্রমাণ করেছেন—বাংলাদেশিরা শুধু নিউইয়র্কের অংশ নয়, এর সম্মানেরও অংশ।