ভারি বর্ষণের ফলে এখন পর্যন্ত ১৩৬টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সড়ক। প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সোমবার বেইজিং তার সর্বোচ্চ স্তরের বন্যা সতর্কতা জারি করে।
চীনের ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে বেইজিংয়ে একদিনেই অন্তত ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিখোঁজ আরো অনেকে। মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে চীনের উত্তরাঞ্চলে তীব্র বর্ষণ বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি করেছে। খবর সিএনএন।
সোমবার বেইজিং ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে বৃষ্টিপাত আরো তীব্র হয়। রাজধানীর উত্তর-পূর্বে অবস্থিত মিইউন জেলায় ২৮ জন ও ইয়ানছিং জেলায় আরো দুইজন প্রাণ হারান বলে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে। বেইজিংসহ উত্তরাঞ্চলের হেবেই, জিলিন, শানদং প্রদেশে টানা বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার হেবেই প্রদেশে ভূমিধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী হ্যবেই প্রদেশের লুয়ানপিং কাউন্টির একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভূমিধসে চারজন নিহত হয়েছে। আরো আটজন নিখোঁজ। স্থানীয় এক বাসিন্দা রাষ্ট্র-সমর্থিত বেইজিং নিউজকে জানান, যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন এবং তিনি তার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
ভারি বর্ষণের ফলে এখন পর্যন্ত ১৩৬টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সড়ক। প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ মিইউন এলাকায় বলে সিসিটিভি জানিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, বেইজিংয়ের আবাসিক এলাকা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বন্যার পানি, ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ফেলছে আর রাস্তাগুলোকে নদীতে পরিণত করছে।
সোমবার বেইজিং তার সর্বোচ্চ স্তরের বন্যা সতর্কতা জারি করে। বন্ধ ঘোষণা করা হয় স্কুল ও পর্যটন কেন্দ্র। সেইসঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় হোমস্টে ও ক্যাম্পিং কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেয়।
এখনো নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান ও উদ্ধারকাজে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিপদাপন্ন মানুষদের দ্রুত ও সঠিকভাবে সরিয়ে পুনর্বাসন করার পাশাপাশি প্রাণহানি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।