ঢাকা , রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫ , ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গাজ্জায় দুর্ভিক্ষ: শিশুরা চায় মরতে যেন জান্নাতে গিয়ে খেতে পারে, মানবাধিকার সংকট তীব্র ভারত ৯৭টি তেজস যুদ্ধবিমান কিনছে, চুক্তির পরিমাণ ৭.৪ বিলিয়ন ডলার জেরুজালেমে খ্রিস্টান স্থাপনা নিয়ে রাশিয়া–ইসরাইল বিরোধ তীব্র সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন ইমরান খান, তবে মুক্তি নয় ওয়েলসে খ্রিস্টানদের ৫০ বছরের ক্রুশ ভেঙে ইহুদিদের ডেভিডের তারকা বানানোর অভিযোগে বিতর্ক রাশিয়া-ভারত তেল চুক্তির কেন্দ্রবিন্দু মুকেশ আম্বানি রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে কক্সবাজারে তিনদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কোনো মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাতের সুন্নাহ সমূহ ২৩টি রাজনৈতিক দলের মতামত জমা, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্যোগ ডিএনসিসির ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কমিটি গঠন প্রবীণদের যত্নে সমাজের দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বাস্থ্য সচিবের বাংলাদেশে বিএসএফ সদস্যর, বিজিবির সামনে পা ধরে বসতে দেখা ভিডিও ভারতবাসীর জন্য সীমাবদ্ধ করলো ফেসবুক সাদাপাথর লুট: প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদক্ষেপ, কেউ থাকুক না কেন আইনের আওতায় আনা হবে মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে আইনি সতর্কতা জারি, গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান অবশেষে দশ পর বছর পর মুক্তি পেলেন লেখক ও ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী হাসিনার আশ্রয় নিয়ে প্রশ্ন ওয়াইসির: ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানো শুরু হোক হাসিনা থেকে’ বিএনপির ৩১ দফায় আস্থাশীলদের সঙ্গেই জোটের ইঙ্গিত, নির্বাচনী প্রস্তুতিতে উৎসবের আমেজ ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে, ভোট শেষে ক্ষমতায় কোনো ভূমিকায় থাকবেন না -ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য: চা রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা ও শিল্প খাতে সহযোগিতা নিশ্চিত

প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর

  • আপলোড সময় : ০৭-০৭-২০২৫ ০৩:৫২:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৭-২০২৫ ০৫:৪১:৩২ অপরাহ্ন
প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া সক্রিয়ভাবে বিবেচনাধীন রয়েছে। গতকাল শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠি সব উপপরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
 
রোববার অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এ চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়ে সরকারের যেহেতু কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই, তাই এ বিষয়টি সরকার পজিটিভলি বিবেচনা করছে।
 
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি- একটি গ্রুপ এই প্রমোশনকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে। তাই সাধারণ শিক্ষকদেরকে এদের থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে এই পত্র জারি করি। আমরা আশা করি, এরপর থেকে কোনো প্রধান শিক্ষক বিপথগামী গ্রুপের ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হবেন না।
 
মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়ে আমরা অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি, সেখান থেকে তা অর্থ মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে বাকি কাজ শেষ করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু সময় লাগতে পারে।
 
চিঠিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রায় বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছে। অবশিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।’
 
শিক্ষকরা জানান, শুধু রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল, দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড বাস্তবায়ন। এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেডে বাস্তবায়ন। আমাদের দাবি, সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
 
এর আগে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। সেদিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। এটাকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট করেন।
 
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ৪৫ জন রিট আবেদনকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে অফিশিয়াল গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করাসহ তিনটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
 
এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি খারিজ হয়। এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে একই বছর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ।
 
এদিকে অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়, ১০ গ্রেড বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ফৌজদারি অপরাধের শামিল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোনোরূপ আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো এবং চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারীদের নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : স্টাফ রিপোর্টার-2

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
লিড সনদ পেল বাংলাদেশের আরও তিন পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা

লিড সনদ পেল বাংলাদেশের আরও তিন পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা