সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সমাপনী দিনেও তিনি রোহিঙ্গা সংকটকেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি সেশনে অংশ নেবেন।
ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সম্মেলনের বিস্তারিত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক মহলে অগ্রাধিকার পাওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ২৪ আগস্ট কক্সবাজারে প্রথম সম্মেলন শুরু হবে।”
তিনি জানান, এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করা, মানবিক সহায়তা বাড়ানো, নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করা এবং সংকট সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা। শফিকুল আলমের ভাষ্যে, “রোহিঙ্গারা যে ভয়াবহ গণহত্যার শিকার হয়েছেন, তা বিশ্বকে জানানো তাদের জন্য সহজ নয়। তাই ৪০টি দেশের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যেখানে রোহিঙ্গারা নিজেরাই তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরবেন।”
তিনি আরও জানান, কক্সবাজারের সম্মেলনের পর আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে সবচেয়ে বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ১৭০টি দেশের অংশগ্রহণের আশা করা হচ্ছে। এরপর ডিসেম্বর মাসে কাতারের দোহায় আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।