ইসলাম ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের ধর্ম। একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে সালাম, মুসাফাহা, আলিঙ্গন ও হাসিমুখে অভ্যর্থনা করা শুধু সৌজন্য নয়; বরং সুন্নাহ এবং ইবাদত। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উত্তম আচরণ শিখিয়ে দিয়েছেন। তাই মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কিছু সুন্নাহ মেনে চলা আমাদের ঈমান ও সম্পর্ককে দৃঢ় করে।
ইসলাম ধর্ম অনুসারে, সাক্ষাতের সময় সুন্নাহসমূহ-
১. সালাম দেওয়া ও উত্তর দেওয়া: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"তোমরা একে অপরের মধ্যে সালাম প্রচার করো, তাহলে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে।" (মুসলিম, হাদিস: ৫৪)
২. মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করা: রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন:
"যখন দুই মুসলিম সাক্ষাৎ করে মুসাফাহা করে, তখন তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যতক্ষণ না তারা আলাদা হয়।"
(আবু দাউদ, তিরমিজি)
৩. আলিঙ্গন (মু‘আনাকা) করা: আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন:
"নবীর সাহাবারা যখন একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন মুসাফাহা করতেন, আর ভ্রমণ শেষে দেখা হলে আলিঙ্গন করতেন।"
(তাবরানি, বায়হাকি)
৪. হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও একটি সাদকা।"
(তিরমিজি, হাদিস: ১৯৫৬)
৫. নাম ধরে ডাকা ও আন্তরিকতা প্রকাশ করা: রাসূল ﷺ অন্যদের নাম ধরে ডাকতে ভালোবাসতেন। এতে ভালোবাসা ও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়।
মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে সালাম, মুসাফাহা, আলিঙ্গন এবং হাসিমুখ শুধু সামাজিক শিষ্টাচার নয়, বরং নবীর ﷺ সুন্নাহ। এগুলো গুনাহ মোচন করে, ভ্রাতৃত্ব বাড়ায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উপায় হয়। তাই প্রতিটি সাক্ষাতের সময় এ আদবগুলো মনে রাখা জরুরি।