জাতীয় নির্বাচন থেকে আলাদাভাবে গণভোট আয়োজন করা হলে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ অপচয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এই উদ্যোগের আড়ালে পতিত ফ্যাসিবাদকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে কিনা—তা ভেবে দেখা জরুরি।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “বর্তমান দুর্বল সরকারকে হুমকি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। রাজনৈতিক দলগুলোকে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ বিএনপির বিজয় ঠেকাতে চায়, তাহলে তারাই শেষ পর্যন্ত বিপর্যস্ত হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, মাসের পর মাস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় গুরুত্ব পায়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, আলু চাষিদের ভর্তুকির টাকাতেই গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তার ভাষায়, “গণভোটের চেয়ে আলু চাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করাই এখন বেশি জরুরি।”
এছাড়া, তিনি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ, নারী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও কর্মহীন মানুষের চাকরির সুযোগ তৈরিকে গণভোটের চেয়ে অধিক অগ্রাধিকারযোগ্য বিষয় বলে মন্তব্য করেন।
নারী শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা কমানোর নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “৮ ঘণ্টার বদলে ৫ ঘণ্টা কাজ করলে তাদের মজুরির বাকি অংশ কে দেবে? এতে কি নারীদের চাকরির সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে না?”
তারেক রহমানের মতে, দেশে এখন গণভোট নয়, বরং কৃষক, শ্রমিক ও কর্মহীন মানুষের বাস্তব সমস্যা সমাধানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ডেস্ক রিপোর্ট