রোববার দুপুরে ঢাকার এক হোটেলে আয়োজিত ‘ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতার মধ্যে পথপ্রদর্শন: কোরিয়া-বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের দিকে’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত পার্ক। তিনি বলেন, “চলমান CEPA আলোচনা আমাদের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের কাঠামো গড়ে তুলবে এবং এটি কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠবে।”
রাষ্ট্রদূত কোরিয়ার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সহায়তা ও পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ে প্রবেশের প্রস্তুতির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “কোরিয়া একসময় সাহায্যপ্রাপ্ত দেশ থেকে উন্নয়ন সহযোগী দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (RMG) খাতে আমাদের বিনিয়োগ যেমন দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তেমনি ভবিষ্যতেও কোরিয়া বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি খাতে আরও সহযোগিতা বাড়াবে।”
সেমিনারে নীতি বিশেষজ্ঞ, একাডেমিক, উন্নয়ন সহযোগী এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আলোচনা হয় দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে।
সেমিনারের সঞ্চালক ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান। বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, রাষ্ট্রদূত মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. পারভেজ করিম আব্বাসী এবং ড. সেলিম রাইহান। কোরিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. সং কিউংজিন, ড. লি সুন-চুল ও ড. সং চি-উং।
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এই CEPA আলোচনা গত পাঁচ দশকের কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতির প্রতিফলন, যা ভবিষ্যতে উন্নত উৎপাদন, অবকাঠামো, ডিজিটাল রূপান্তর এবং মানবসম্পদ বিনিময় খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
ডেস্ক রিপোর্ট