দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন, যেখানে স্থানীয় উৎপাদন মাত্র ৩ লাখ টন। ফলে ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করে—যার প্রায় ৯০ শতাংশই আসে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ও পাল্টা শুল্কের চাপে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানির দিকে নজর দিয়েছে বাংলাদেশ। গত আগস্টে মার্কিন বাজার থেকে গম, সয়াবিন, তুলা ও বোয়িং পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই সয়াবিন চুক্তি সম্পন্ন হলো।
ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (USSEC)-এর সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএসইসির সিইও কেভিন এম. রোপকে, যিনি বলেন—“সয়াবিন রফতানির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।”
সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান জানান, কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় এই চুক্তি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাঁর ভাষায়, “এটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি পারস্পরিকভাবে লাভজনক হবে।”
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বলেন, “চুক্তির ফলে বাংলাদেশের ভোক্তারা আরও প্রতিযোগিতামূলক দামে সয়াবিন তেল পাবে।”
অন্যদিকে ডেল্টা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিরুল হক মনে করেন, এই উদ্যোগে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে নতুন গতি আসবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, যিনি বলেন—“বাংলাদেশ এখন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিলিয়ন ডলারের রফতানি সহযোগী দেশ। ভবিষ্যতে দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় হবে।”
সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, বিপরীতে ৬২৬ কোটি ডলার রফতানি করেছে—যা দুই দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে।
ডেস্ক রিপোর্ট