অন্যদিকে, ডলারের মান কমে যাওয়া এবং মার্কিন শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণের দিকে আকৃষ্ট করছে। এতে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১ জুলাই) স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৩২ ডলার। ফিউচার মার্কেটে বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৩৬১ দশমিক ৭০ ডলার।
ডলারের মান ২০২২ সালের শুরুর পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে যাওয়ায় স্বর্ণ এখন বিদেশি ক্রেতাদের জন্য আরও সাশ্রয়ী। অ্যাক্টিভট্রেডসের বিশ্লেষক রিকার্ডো ইভাঞ্জেলিস্টা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ বিকল্প স্বর্ণে আকৃষ্ট করছে।
এদিকে, ট্রাম্পের বাজেট ব্যয়, করছাড় ও ফেডারেল রিজার্ভের সুদ হারের ওপর চাপ বাজারে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বর্ণের দাম আরও বাড়তে পারে।
এইচএসবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৩০০ ডলারের ওপরে থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কিছুটা কম ক্রয় করবে, তবে দাম কমলে আবার চাহিদা বাড়বে।
বাংলাদেশে বিশ্ববাজারের এই প্রভাবও অনুভূত হচ্ছে। বাজুস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও যে কোনো সময় স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে।
সর্বশেষ গত ২৮ জুন স্বর্ণের দাম কমিয়ে ২২ ক্যারেটের ভরি নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকা। ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ১ লাখ ১৫ হাজার ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।