স্থানীয় রোহিঙ্গাদের বয়ান অনুযায়ী, তারা খাবার ও পানিবিচ্ছিন্নের পাশাপাশি তাদের আসবাবপত্র এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তিও ধ্বংসের শিকার হয়েছে। এই হামলা ও নির্যাতনের ফলে নারী, শিশু এবং প্রবীণ রোহিঙ্গাদের অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং তারা আশ্রয়ের জন্য বেকায়দায় পড়েছে। দীর্ঘদিনের প্রলম্বিত গণহত্যা ও নির্যাতনের মধ্যেও তাদের প্রতি যথাযথ আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ও সহায়তা না মেলায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হচ্ছে।
এই মানবিক সংকটের পেছনে বিদ্যমান রাজনৈতিক ও সামরিক প্রেক্ষাপট এবং আরাকান আর্মির অধীনে থাকা এই হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও রোহিঙ্গা অধিকার আন্দোলনের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। মুসলিম সংখ্যালঘু হিসেবে রোহিঙ্গাদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে ঘটে আসা নির্যাতন ও গোপন ঘোষণার অভাব এই সংকটকে জটিল অবস্থা দিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের প্রতি চলমান এ নির্মম নির্যাতন বন্ধ করা এবং তাদের মানবিক পরিস্থিতি সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদ্বিচার ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য। ঐতিহাসিক বিদ্বেষ ভুলে তাদের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় বিশ্ববাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।