রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের ১৩তম হিফজুল কোরআন অ্যাওয়ার্ড ও কোরআন উৎসবে দেশের বিভিন্ন শাখা থেকে আগত ১,৭১৫ জন হাফেজ এবং তাঁদের অভিভাবকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে আয়োজন হয়ে আসা এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হলো পবিত্র কোরআনের হাফেজদের সমাজে সম্মানিত করা এবং তাঁদের উৎসাহিত করা, যাতে তাঁরা ইসলামের আদর্শে সুশিক্ষিত প্রজন্ম হিসেবে এগিয়ে আসতে পারেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মুফাসসিরে কোরআন ড. মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মো. নুরুল হক, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সামসুল আলম, চট্টগ্রামের আন্দারকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের আহমাদ জাবেরী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী আহমাদত বিন ইউছুফ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদরা।
তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবীবুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলগণ, শাখাপ্রধান, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে উৎসবটি এক অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন কোরআনপ্রেমী প্রজন্ম গড়ে তুলছে—আমরা আশা করি এখান থেকে নৈতিক ও যোগ্য নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে, যারা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
সমগ্র অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত, ইসলামি সংগীত, বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তিতে পরিবেশ মুখরিত হয়ে ওঠে। সকাল থেকেই শিশুখাদ্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাদা জুব্বা ও পাগড়িতে, আর ছাত্রীদের নীল-সাদা পোশাকে আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ। তাঁদের কাঁধে ছিল তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের বিশেষ লোগোসংবলিত উত্তরীয়, যা ঐক্য ও পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে সবার নজর কাড়ে।
ডেস্ক রিপোর্ট