শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় চানখারপুলে ঘটে যাওয়া ছয়জনের হত্যাকাণ্ডের মানবতাবিরোধী মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার সাক্ষ্য দেবেন। এই মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে শুনানি চলছে।
জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে ছয় জন নিহত হন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়। আজ ১০তম দিনে সাক্ষ্যগ্রহণের অংশ হিসেবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আদালতে তার বর্ণনা উপস্থাপন করবেন। প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এই বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আগের সাক্ষ্যগ্রহণে আসিফ মাহমুদ তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, জুলাই মাসের অভ্যুত্থানকালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ভুল তথ্য দিয়ে ডিবি সমন্বয়কদের জোর করে একটি ভিডিও বার্তা পরিচালনা করিয়েছিল, যা পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
জবানবন্দিতে তিনি আরো জানান, ১৯ জুলাই ইন্টারনেট বন্ধ থাকা অবস্থায় তাকে ফোন ট্র্যাকিং করে ডিজিএফআই তুলে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে পাঁচ দিন গুম রাখা হয়। তাঁর চোখ বাঁধা থাকায় গুম থাকার আসল স্থান সম্পর্কে জানা ছিল না, তবে ৫ আগস্টের পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পরিদর্শনের সময় ওই গুম থাকার ঘর শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এই মামলার ঘটনার পটভূমিতে রয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের চানখারপুলে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর পুলিশের গুলির ঘটনা, যেখানে ছয়জন আন্দোলনকারী মারা যান, তারা হলেন শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।