মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পৃথক স্ট্যাটাসে তারা নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করেন। আবিদুল ইসলাম খান লিখেছেন, “পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পরই অনুমান করেছিলাম। নিজেদের মতো সংখ্যা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এই প্রহসন প্রত্যাখ্যান করছি।”
অন্যদিকে জিএস পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি মনে করেন এটিই তাদের রায়, তবে আমি সেই রায়কে সম্মান জানাই।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোটগ্রহণ উৎসবমুখর পরিবেশে হলেও কিছু কেন্দ্রে অনিয়ম, গণনায় প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারপরও তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
দীর্ঘ ছয় বছর পর আয়োজিত এই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যার মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৫ জন। মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।