স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, রাজধানীতে বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ চত্বরে প্রবেশ করে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়েছে এবং দাঙ্গাপ্রবণ আচরণে ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছে। আহতদের মধ্যে ২৮ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। অনেককে মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
কারফিউর বিধিনিষেধ ভেঙে পার্লামেন্ট সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশের পর রাজধানীতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন কারফিউর আওতা বাড়িয়েছে; নতুন করে কারফিউ জারি হয়েছে প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাস, মহারাজগঞ্জের লাইনচুরে ভাইস প্রেসিডেন্টের বাসভবন, সিঙ্গা দুর্বার এলাকার সব অংশ, বালুওয়াটারে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সময় বেলা ১২:৩০ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
বানেশ্বরে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে কান্তিপুর টেলিভিশনের সাংবাদিক শ্যাম শ্রেষ্ঠাও রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন। দামাকেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। পোখারায় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর সেখানে কারফিউ জারি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বিক্ষোভ শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে; পরে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় পতাকা উড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। ২৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ইউজান রাজভাণ্ডারি বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আমাদের টনক নড়িয়েছে, তবে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করছি। এটি নেপালে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে।” অন্য ২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ইক্ষমা তুমরক যোগ করেছেন, “সরকারের কর্তৃত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে। আমরা পরিবর্তন চাই।”
নিষেধাজ্ঞার আওতায় না পড়ায় টিকটক এখনও দেশে সচল রয়েছে। ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউব বন্ধের ফলে সাধারণ মানুষের কষ্ট, রাজনীতিকদের বিলাসী জীবনযাপন ও ছুটি কাটানোর তুলনা করে ভাইরাল ভিডিও তৈরি হচ্ছে। পূর্বে জুলাই মাসে অনলাইন জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের কারণ দেখিয়ে টেলিগ্রাম বন্ধ করা হয়েছিল।