নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা থেকে টানা ৩৪ ঘণ্টার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশপথে কঠোর নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা চলবে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে মোতায়েন রয়েছেন।
প্রবেশপথগুলোতে কঠোর তদারকি লক্ষ্য করা গেছে। শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত, পলাশী ও ফুলার রোডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গেটে পুলিশ, আনসার ও বিজিবি সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। ক্যাম্পাসে প্রবেশের আগে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনুমোদিত ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে। এমনকি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদেরও পরিচয়পত্রের ফটোকপি ছাড়া প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত বা জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছে না। প্রতিটি যানবাহনে চলছে তল্লাশি।
সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রবেশপথে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পরিচয়পত্র দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন। ক্যাম্পাসে পরিবেশ শান্ত থাকলেও ভোটকেন্দ্রগুলোতে তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, যার মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে ১ জন এবং এজিএস পদে ৪ জন রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত, শিববাড়ি, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও পলাশী ক্রসিংসহ সব প্রবেশপথ সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র বৈধ আইডিধারী বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই প্রবেশ করতে পারবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও জানিয়েছে, পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না এবং ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।