এবারের ডাকসু ভোটে ব্যালট পেপারের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে; ডাকসুর ব্যালট ৫ পৃষ্ঠার, আর হল সংসদের ব্যালট একটি পৃষ্ঠার হবে। ভোট প্রদান হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিট ব্যবহার করে। ফলে মোট ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হবে।
ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন ভোটারদের উৎসাহিত করতে তিনটি অনুষদ এবং একটি ইনস্টিটিউটে সভা আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে ভোট প্রদানের নিয়ম ও পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ভোটাররা নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি কার্ড বা পে-ইন স্লিপ দেখাবেন, অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা হল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেখাবেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় কালির দাগ দেওয়া হবে। এরপর ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর করে ভোটার নম্বর জানাবেন।
ভোটাররা গোপন ভোট কক্ষে প্রবেশ করবেন, যেখানে মোবাইল বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নেওয়া যাবে না। ভোটার পছন্দের প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নম্বর শনাক্ত করে ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দেবেন। ভোট শেষে কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের আলাদা ব্যালট বক্সে ব্যালট পেপার ফেলে ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে। যেসব শিক্ষার্থী ব্রেইল পড়তে পারেন, তাদের জন্য ডাকসুর ব্যালট ৩০ পাতার বুকলেট আকারে থাকবে, যেখানে সূচিপত্রে পদের নামসহ তালিকা থাকবে। হল সংসদের ব্রেইল ব্যালট ৩–৪ পাতার হবে। যেসব শিক্ষার্থী ব্রেইল পড়তে পারেন না, তারা একজনের সাহায্য নিয়ে ভোট দেবেন।
ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর। শারমীন কবীর জানিয়েছেন, সাতটি হল থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীর তালিকা পাওয়া গেছে, যারা এই পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন।