ঐক্য সপ্তাহের আগমনে শুভেচ্ছা জানিয়ে পেজেশকিয়ান ইসলামী দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সমস্ত ক্ষেত্রে ইসলামী দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা কেবল উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ তৈরি করবে না, বরং কোনো শক্তি আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বা পরাজিত করতে পারবে না।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, শত্রুরা মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। “ইসলামী জাতির শত্রুরা ইন্ধন জোগানো বিষয়গুলো সামনে এনে বিভাজন তৈরি করতে চায়। তাই আমাদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে,” তিনি যোগ করেন।
ইসরাইল ও তার মিত্রদের সমালোচনা করে পেজেশকিয়ান বলেন, “আজ ইহুদিবাদী ইসরাইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতিয়ার হয়ে ইসলামী দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে এবং তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করছে। মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই দখলদার শক্তি কোনো ষড়যন্ত্র করার সাহস পাবে না।”
গাজার জনগণের প্রতিরোধ এবং ইরানি জাতির সাহসী অবস্থানকে ঐক্যের শক্তির প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যুদ্ধবিমান, বোমা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র কোনো শক্তিই ঐক্যবদ্ধ ইরানি জাতিকে পরাজিত করতে পারবে না।”
ইরাকের আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বলেন, রাজনৈতিক ঐক্য ও অখণ্ডতা ইরাককে শক্তিশালী করবে এবং ইসলামী জাতিকে উন্নীত করবে।
অন্যদিকে, আম্মার হাকিম বৈঠকে ইরানকে অভিনন্দন জানিয়ে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানি জাতির দৃঢ়তা ও সাহসের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “ইরানের সংহতি মুসলিম জাতিগুলোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মুক্ত জাতিগুলোরও প্রশংসা কুড়িয়েছে।” তিনি যোগ করেন, “ইরান ইসলামী উম্মাহকে সম্মান ও কর্তৃত্ব দিয়েছে।”