সোমবার সন্ধ্যায় বালুওয়াতারে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক মন্ত্রীর বরাতে জানা গেছে, সোমবারের বিক্ষোভে কাঠমান্ডুতে ১৭ জন এবং ইটাহারিতে দুজন নিহত হন। এছাড়া আহত হন ৪০০ জনেরও বেশি। নৈতিক দায়বোধের কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন লেখক।
এর আগে নেপালি কংগ্রেসের বৈঠকে দলটির সাধারণ সম্পাদক গগন থাপা এবং বিশ্ব প্রকাশ শর্মা লেখকের পদত্যাগ দাবি করেন। যদিও কংগ্রেস সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা নীরব ছিলেন, পরে লেখক বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে তার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
জবাবদিহিতা ও শাসন ব্যবস্থায় সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ‘জেনারেশন জেড’ আন্দোলন দ্রুত নেপালের প্রধান শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংসদ ভবনের ভেতরে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করলে সংঘর্ষ সহিংসতায় রূপ নেয়।
সোমবার কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে পুলিশের গুলিতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে, যা সরকারের ওপর তীব্র রাজনৈতিক চাপ তৈরি করে।
এর আগে হাজারো বিক্ষোভকারী ফেসবুক, এক্স (পূর্বে টুইটার) ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।