এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ৫টি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ ভোটার ছিলেন। ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৭১ প্রার্থী। অন্যদিকে, ১৮টি হলে প্রতি হলে ১৩টি করে মোট ২৩৪ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। এবারের ভোটে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ নিয়েছে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও লড়ছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের মধ্যে রয়েছে—জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিরোধ পর্ষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির মনোনীত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, ছাত্র অধিকার পরিষদ, অপরাজেয় ৭১–অদম্য ২৪ প্যানেলসহ একাধিক স্বতন্ত্র জোট। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য।
প্রতিটি প্যানেলের শীর্ষ পদে আলোচিত প্রার্থীরা হচ্ছেন—ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম খান (ছাত্রদল), শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি (প্রতিরোধ পর্ষদ), আব্দুল কাদের (বাগছাস), বিন ইয়ামিন মোল্লা (ছাত্র অধিকার পরিষদ) এবং স্বাধীন প্রার্থী শামীম হোসেন। জিএস ও এজিএস পদেও প্রতিযোগিতা করছেন পরিচিত ছাত্রনেতারা।
দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ ও উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় এখন পুরো ক্যাম্পাস।