নেপালে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে উত্তেজিত জনতা রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবনের ওপর হামলা চালায় এবং একাধিক স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেস পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ তরুণরা আগুন ধরিয়ে দেয়। একইদিনে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোড়েলের বাসভবন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’র খুমালতারের বাসভবনেও হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া, ললিতপুর জেলায় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক এবং রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বিশ্ব পাউডেলের বাসভবনেও হামলা হয়েছে। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেস সভাপতি শের বাহাদুর দেউবার বাড়িতে হামলার চেষ্টা করলেও নিরাপত্তা বাহিনী আগেই তা প্রতিহত করে।
স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। তবে সত্ত্বেও দেশজুড়ে বেশ কয়েকজন প্রাদেশিক মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারি করলেও বিক্ষোভ থামেনি। হতাহতের দায় সরকারের ওপর চাপিয়ে রাজপথে থাকা তরুণরা প্রধানমন্ত্রী অলির পদত্যাগ দাবি করছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞাই বিক্ষোভের মূল সূত্রপাত। ফেসবুক, এক্স, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপসহ ২৬টি প্লাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা প্রত্যাহারের পরও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। বরং তরুণ প্রজন্ম আরও সক্রিয় হয়ে নতুন উদ্যমে রাস্তায় নেমে আসছে।