যশোরের রাজারহাট মোড় এলাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চার সদস্য অভিযান চালানোর সময় হামলার শিকার হন। এতে কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এসআই হাবিব, এসআই তরিকুল ইসলাম, এএসআই মো. জাহিদ হোসেন এবং কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম নিয়ে গঠিত একটি দল মাসুদ রানার ছেলে তুষারকে সন্দেহভাজন অবস্থায় আটক করে কাশ্মীরি বিরিয়ানি হাউজে তল্লাশি চালান। সিআইডির দাবি, তল্লাশিতে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
এ সময় তুষার সিআইডি সদস্যদের “ভুয়া পুলিশ” বলে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষের ফলে কয়েকজন স্থানীয় এবং সিআইডির সদস্য আহত হন। পরে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজারহাট এলাকার চা দোকানি মোতাহার হোসেন জানান, মারামারি তার দোকানের সামনে চলে আসে। তিনি বলেন, “সাদা পোশাকের পরিচয়প্রদর্শনকারীরা যখন তুষারকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি বলছিলেন, আমার টাকা মোবাইল নিয়ে যাচ্ছে, ভুয়া সিআইডি পরিচয়।” এতে কয়েকজন স্থানীয় বাধা দেওয়ায় হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত তুষার দাবি করেছেন যে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি তাকে কেয়া হোটেলের ভিতরে নিয়ে যান এবং তার পকেট থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল নেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রতিরোধ করলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
সিআইডি পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার মোসাঃ সিদ্দিকা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “পুলিশ সদস্যরা অভিযান করতে গিয়েছিল, কাউকে ফাঁসানোর কোনো কারণ নেই। তুষারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলাও রয়েছে।” তিনি আরও জানান, সরকারি কাজে বাধা ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে তুষারের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ কাজ করছে।
যশোরে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলায় আহত ৪ সিআইডি সদস্য
- আপলোড সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ০৮:০৫:১৯ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ০৮:০৫:১৯ অপরাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ