গোপনীয়তা সংক্রান্ত তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হওয়ায় গুগলকে দায়ী করা হয়েছে। তবে জুরি জানিয়েছে, গুগলের কোনো দুরভিসন্ধি ছিল না, তাই অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়নি। মামলাটি ক্লাস অ্যাকশন হিসেবে অনুমোদিত হয়, যা প্রায় ৯৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী ও ১৭৪ মিলিয়ন ডিভাইসকে অন্তর্ভুক্ত করে।
গুগলের মুখপাত্র হোসে কাস্তানেদা বলেন, রায়টি আমাদের পণ্যের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেছে। তিনি দাবি করেন, গুগলের গোপনীয়তা টুলস ব্যবহারকারীদের তথ্য নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেয় এবং ব্যবহারকারীরা পার্সোনালাইজেশন বন্ধ করলে প্রতিষ্ঠানটি সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। গুগল এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, মামলার আইনজীবী ডেভিড বয়েস এই রায়কে ব্যবহারকারীদের জন্য বড় জয় হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এই মামলা ২০২০ সালের জুলাইয়ে দাখিল করা হয়। অভিযোগকারীদের দাবি ছিল, গুগল Uber, Venmo ও Instagram-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছে, এমনকি ট্র্যাকিং ফিচার বন্ধ থাকলেও। গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংগৃহীত তথ্য ছিল নন-পার্সোনাল, সিউডোনিমাইজড এবং এনক্রিপ্টেড ফরম্যাটে সুরক্ষিত স্থানে সংরক্ষিত।
গুগল এর আগেও গোপনীয়তা ইস্যুতে বড় ধরনের জরিমানার সম্মুখীন হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে টেক্সাসের সঙ্গে একটি মামলায় প্রতিষ্ঠানটি ১.৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়। এছাড়া, ২০২৪ সালের এপ্রিলে গুগল ইনকগনিটো ব্রাউজিং ডেটা ধ্বংসে সম্মত হয় একটি মামলার নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে।
সূত্র: আল-জাজিরা