নিত্যপণ্যের দামের লাগাতার ঊর্ধ্বগতিতে আটা, ময়দা ও মসুর ডাল বর্তমানে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে রাজধানীর বাজারে। গত দুই সপ্তাহে এসব খাদ্যপণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ার ফলে দৈনন্দিন খরচ নিয়েই দুশ্চিন্তায় ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কম থাকার কথা জানিয়ে দাম বাড়ানোর কারণ তুলে ধরলেও সাধারণ মানুষ কার্যকর বাজার মনিটরিং দাবি করছেন।
সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ান বাজার এবং এর আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা আটার দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ টাকা। বর্তমানে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়, যেখানে আগে ছিল ৪০-৪২ টাকা। প্যাকেটজাত আটার দামও বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা। এছাড়া, খোলা ময়দার দাম পূর্বের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দা ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৩০ টাকা।
মসুর ডালের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ছোট দানার মসুর ডালের দাম একলাফে ২০-২৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। মোটা দানার মসুর ডালও ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ১১০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের মতে, আমদানি হ্রাস পাওয়ায় ডাল-আটা-ময়দার বাজারে বাড়তি চাপ দেখা দিয়েছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে ভোগান্তি বর্ণনা করেন ক্রেতা শফিকুল, তিনি বলেন—আটা, ময়দা ও ডাল কিনতে এসে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে, ফলে দৈনন্দিন খরচে বাড়তি চাপ পড়ছে। অপর ক্রেতা মোকাম্মেল বাজারে কড়া মনিটরিং দাবি করে বলেন, বাজার মোটামুটি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ না হলে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ, আমদানির সীমাবদ্ধতা এবং বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে, সামনেই পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জন্য উদ্বেগজনক।