চট্টগ্রামে দ্রুত বাড়ছে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জরিপে জানা গেছে, নগরীর ২০টি এলাকাকে হটস্পট এবং পাঁচটি এলাকাকে অতিঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই এসব এলাকার বাসিন্দা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
জরিপ অনুযায়ী, হালিশহর, আগ্রাবাদ, বন্দর, সদরঘাট ও ডবলমুরিংকে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া খুলশী, বায়েজীদ, চান্দগাও, কোতোয়ালি, ইপিজেড, পাহাড়তলী, চকবাজার, লালখানবাজার, বাকলিয়া, দেওয়ানবাজার, দেওয়ান হাট, ঝাউতলা, আন্দরকিল্লাহ, নাসিরাবাদ ও পাঠানটুলীসহ মোট ২০টি এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত নগরে প্রায় দুই হাজার ১০০ জন চিকুনগুনিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে পরীক্ষার বাইরে থেকেও অনেক রোগী থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কও বাড়ছে। সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল বলেন, “আমাদের এলাকায় ঘরে ঘরে চিকুনগুনিয়া হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ পেরিয়েও শরীরের ব্যথা কমছে না। আমরা খুবই ভীত।”
এদিকে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, মাসব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম চলছে। বিশেষ করে হটস্পট এলাকাগুলোতে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে এবং নতুন ওষুধ ব্যবহার করে প্রতিটি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় দেখা গেছে, মশার ঘনত্বের সর্বোচ্চ অস্তিত্ব পাওয়া গেছে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায়, যেখানে হার দাঁড়িয়েছে ১৩৪ দশমিক ৬২ শতাংশ।