শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী জাহাজ নির্মাণ শিল্প বাংলাদেশের শিল্পায়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তিনি জানান, বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা টিকিয়ে রাখতে হলে দেশকে এখনই এলএনজি, হাইব্রিড ও নবায়নযোগ্য শক্তিচালিত জাহাজ নির্মাণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
শনিবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত “গ্রিন শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি: শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইবিএফবি’র সভাপতি লুতফুন্নিসা সাউদিয়া খান। উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. জাইদি সাত্তার।
আদিলুর রহমান বলেন, বৈশ্বিকভাবে পরিবেশবান্ধব ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ জাহাজের চাহিদা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, যে দেশগুলো টেকসই প্রযুক্তিভিত্তিক জাহাজ তৈরি করতে পারবে, তারাই আগামী দিনে বৈশ্বিক সামুদ্রিক অর্থনীতির নেতৃত্ব নেবে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি শিপইয়ার্ডগুলোর জন্য গ্রিন সার্টিফিকেশন অর্জন, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পরিবেশবান্ধব জাহাজ কাস্টমাইজ করার ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করবে।
ড. জাইদি সাত্তার তার প্রবন্ধে বলেন, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক শিপবিল্ডিং খাতের বাজার ছিল প্রায় ১৫৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে চায়না দখল করে ৫৪.৬ শতাংশ, কোরিয়া ২৮ শতাংশ এবং জাপান ১২.৬ শতাংশ শেয়ার নিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৫০টি জাহাজ রপ্তানি করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইবিএফবি’র সাবেক সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, পরিচালক প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেনসহ বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, আইবিএফবি’র সাবেক সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী এবং শিল্পপতি হাফিজুর রহমান খান।