সাক্ষাৎকারে এ উদ্যোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
“আমরা চাই কারাগার সত্যিকার অর্থে সংশোধনাগার হিসেবে কাজ করুক,” বলেন ড. খালিদ। “এজন্য প্রতিটি বন্দির ধর্ম অনুযায়ী নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় বই, নামাজের ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছেন, এই ধরনের শিক্ষা বন্দিদের মানসিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জ কারাগারে প্রায় আড়াই হাজার বন্দি কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করেছেন।
ড. খালিদ বলেন, “বন্দিদের মধ্যে অনেকেই এখনো আদালতের রায় পাননি, তাই তাদের অপরাধী বলাটা ঠিক নয়। আমরা চাই, তারা মুক্তির পর সৎ ও ইতিবাচক জীবনযাপন করতে পারে।”
সরকারি হজ ব্যবস্থাপনা নিয়েও কথা বলেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “এবারের হজ ছিল নির্বিঘ্ন ও সাশ্রয়ী। সরকারের পক্ষ থেকে ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন সরকারি হজযাত্রীরা।”
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, প্যাগোডা ও গীর্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ের সংস্কার ও উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাকাত ফান্ড ও ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে আর্থিক সহায়তা, সুদমুক্ত ঋণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও চালু আছে।
ড. খালিদ আরও জানান, ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটেড) সিস্টেম চালুর কাজ চলছে, যা অনলাইনে সেবা নিশ্চিত করবে এবং তথ্য মনিটরিং সহজ করবে।
তিনি বলেন, “নৈতিকতা শিক্ষা, মানবিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় জ্ঞান বন্দিদের জীবন পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, আর সেটাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।”