আধুনিক ব্যস্ত জীবনে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ ভুলে গেছি, যার মধ্যে অন্যতম হলো—ফজরের নামাজের পর না ঘুমানো। ইসলাম এই সময়টিকে বরকতময় ঘোষণা করেছে এবং নবী করিম (সা.) এ সময়ে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকতে উৎসাহ দিয়েছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, নামাজের স্থানে বসে থেকে সূর্যোদয়ের পর ইশরাকের দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে, তার জন্য হজ ও ওমরাহর পূর্ণ সওয়াব লেখা হয়।” (তিরমিজি: ৫৮৬)
এক হাদিসে ফাতেমা (রা.) বলেন, একদিন সকালে তিনি ঘুমিয়ে থাকলে নবীজি (সা.) তাঁকে পা দিয়ে নাড়া দিয়ে বলেন, “ওঠো! তোমার রবের রিজিক বণ্টন দেখো, অলস হয়ো না। আল্লাহ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের রিজিক ভাগ করে দেন।” (শুআবুল ঈমান: ৪৪০৫)
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফজরের পর দেহের কোষগুলো সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়। এ সময় ডোপামিনের মাত্রাও সর্বোচ্চ থাকে, যা স্মরণশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক। অথচ বাস্তবতায় এ সময়টিই আজ ঘুমের সময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাসুল (সা.) আরও দোয়া করেছেন: “হে আল্লাহ, আমার উম্মতের সকালকে বরকতময় করো।” (আবু দাউদ: ২৬০৬)। সাহাবি সাখর গামেদি (রা.) ফজরের সময় ব্যবসা শুরু করতেন, ফলে তিনি প্রচুর লাভবান হন।
এই পবিত্র সুন্নাহ আবার জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনলে শুধু আধ্যাত্মিক নয়, বরং শারীরিক ও মানসিকভাবে উপকার পাওয়া সম্ভব। চলুন আমরা নবীজির এই শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি।
হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ: ফজরের পর না ঘুমানো
- আপলোড সময় : ০২-০৮-২০২৫ ১০:১৪:২৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০২-০৮-২০২৫ ১০:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ