বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এই বিষয়ে আলোচনা চলাকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আখতার হোসেন ও কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ হস্তক্ষেপ করে তা শান্ত করেন।
টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দলটি সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা উচ্চকক্ষে দিতে চায় না। তিনি উল্লেখ করেন, অনির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে কোনো দেশ সংবিধান সংশোধন করে না।
জাবেদ রাসিন উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দিলে, এহসানুল হুদা মাইক ছাড়াই প্রশ্ন তোলেন, ‘২০২৩ সালে আন্দোলনের সময় আপনারা কোথায় ছিলেন?’ এতে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
আলী রীয়াজ সতর্ক করেন, ব্যক্তিগত প্রশ্ন তোলা বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। আখতার হোসেনও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলনের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তোলা অনুচিত।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সালাহউদ্দিন আহমদ এহসানুল হুদাকে দুঃখ প্রকাশের আহ্বান জানান। হুদা পরে বলেন, কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি দুঃখিত।
সন্ধ্যায় কমিশন জানায়, উচ্চকক্ষের ১০০ সদস্য নির্বাচিত হবেন দলগুলোর প্রাপ্ত জাতীয় ভোট অনুযায়ী পিআর পদ্ধতিতে। তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর দাবি, আসন বণ্টন হওয়া উচিত প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে।
উচ্চকক্ষ গঠনের ধারণার বিরোধিতা করেছে সিপিবি ও বাসদও। তারাও এ বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে।