ইয়েমেনি সেনারা দাবি করেছে, অভিযানের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং ইসরায়েলের নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলোতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, গাজার ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলি মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় তেল আবিব ও অধিকৃত অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছিল, তবে আঘাতে সরাসরি কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করেছে।
এই ঘটনার দুই দিন আগে ইয়েমেনি বাহিনী হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং তিনটি ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের অবস্থানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক বিমান হামলার দায় স্বীকার করেছিল। ইয়েমেনি সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি উল্লেখ করেছেন, নেগেভ মরুভূমির কিছু নির্ধারিত স্থান এবং ইলাতের রামন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে এবং এগুলো “সফল” হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা পরীক্ষা করার পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।