দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতি সপ্তাহে তীব্র আকার নেয়, যখন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পেছনে মূল কারণ ছিল অভ্যুত্থানকারী জেনজিদের আন্দোলন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে শুরু হয়েছিল। সহিংসতায় অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ১,৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। শপথগ্রহণের ফলে এই সহিংসতা কিছুটা কমে আসে।
কার্কির প্রধানমন্ত্রী নিযুক্তি মূলত জেনজিদের প্রায় ২,৫০০ স্বাক্ষরের অনুরোধের ভিত্তিতে হয়েছে। অভ্যুত্থানকারীরা তাকে বেছে নিয়েছে কারণ তিনি সততা, নিষ্ঠা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের জন্য পরিচিত। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগডেল এর পরামর্শে তার নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কার্কির নেতৃত্বে নেপালে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা এবং সংলাপের মাধ্যমে সহিংসতা প্রশমিত করা সম্ভব হতে পারে। তবে দেশের তরুণ ও নাগরিক আন্দোলনের চাপ এখনও বিদ্যমান।