গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী নেতৃত্বে আসেন কারকি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের বিধিনিষেধ এবং দীর্ঘদিনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে অলি সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। জানা গেছে, তাঁর পদত্যাগের পর থেকে তাঁর অবস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
অলির পতনের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। পার্লামেন্ট ভবনসহ একাধিক সরকারি স্থাপনা ও নেতাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ হয়। এ সময়ে নেপালের বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ বন্দি পালিয়ে যায়। এখনও ১২ হাজার ৫৩৩ জন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ ঘিমিরের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সহিংসতায় অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২১ জন বিক্ষোভকারী, ৯ জন বন্দি এবং ৩ জন পুলিশ সদস্য। চলমান এই অস্থিরতায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।