সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের ঘোষণা দেবেন, যার মোট মূল্য ৮,৫০০ কোটি রুপি। সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পগুলো রাজ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মুখ্য সচিব পুনিত কুমার গোয়েল জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফরের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং রাজ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
মণিপুর সফরের পাশাপাশি মোদি ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পূর্ব ভারতের আরও একাধিক রাজ্যে যাবেন এবং সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। শনিবার মণিপুর সফরের পর তিনি মিজোরামে কিছু প্রকল্পের ঘোষণা দেবেন। এরপর বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি, সেখান থেকে রোববার কলকাতা ও বিহারে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রধানমন্ত্রী প্রায় নির্বাচনী গুরুত্বপূর্ণ সব রাজ্য ঘুরবেন।
তবে মণিপুর সফর নিরাপত্তার দিক থেকে উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে দুষ্কৃতকারীরা রাজধানী ইম্ফল থেকে চুড়াচাঁদপুর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর স্বাগত তোরণগুলো ভাঙচুর করে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার অবতরণ করবেন, সেই স্থানের কাছাকাছিই কিছু তোরণ ধ্বংস করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এই ঘটনা অত্যন্ত সঙ্কেতমূলক হিসেবে দেখছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মণিপুরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।