গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও গত এক মাসে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৩২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। উত্তর থেকে দক্ষিণ—গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা অব্যাহত থাকায় বেসামরিক মানুষের হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, একইসঙ্গে পশ্চিম তীরেও সহিংসতা থামছে না।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার গাজার বেইত লাহিয়া, গাজা সিটির পূর্বাংশ এবং খান ইউনিসে ইসরাইলি বাহিনী নতুন করে হামলা চালায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিরতির পরও নিয়মিত আগ্রাসনের কারণে গত এক মাসে বহু বাসিন্দা প্রাণ হারিয়েছেন এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। হেবরনের উত্তরের বেইত উমর এলাকায় গুলিতে কয়েকজন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আনতাবা শহরে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েকজনকে আটক করা হয়। জেরুজালেমের বিভিন্ন অঞ্চলেও অভিযান চালানোর সময় গুলিবর্ষণে বহু মানুষ আহত হন।
এদিকে, হামাস জানিয়েছে, গাজার ভেতরে ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যেই তারা আরও একজন জিম্মির মরদেহ ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করেছে। সংগঠনটির দাবি, যত দ্রুত সম্ভব জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শেষ করতে তারা কাজ করছে।
রাফাহ শহরে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সতর্ক করে বলেছে, শীতের ঝড় ঘনিয়ে আসায় আশ্রয়হীন হাজারো মানুষের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ মানবিক সংকটে রূপ নিতে পারে। তাবু বা ভাঙ্গা ঘরে থাকা পরিবারগুলোর কাছে ঠান্ডা ও বৃষ্টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কোনো উপায় না থাকায় জরুরি সহায়তা ছাড়া বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে, দুর্নীতির মামলায় নিজের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ মাফ করে দেওয়ার আবেদন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে শুধুমাত্র ক্ষমা পেতে দোষ স্বীকারে অনীহা প্রকাশ করেন তিনি।
ডেস্ক রিপোর্ট