তিনি বলেন, “মুজিববাদী সংবিধান ছুড়ে ফেলতে হবে, কারণ এটি জনমানুষের সংবিধান নয়। যে সংবিধান জনগণের কথা বলে না, তার আর কোনো প্রয়োজন নেই।”
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “যদি কেউ মনে করে পুরানো বন্দোবস্ত আবার ফিরে আসবে, তাহলে তাদের পরিণতিও হবে হাসিনার মতো। আমরা জনগণের বাস্তব দাবি নিয়ে এগোচ্ছি, আর তাতেই বাধা দিতে চায় একটি চক্র।”
তিনি অভিযোগ করেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বারবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনসংযোগকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। যারা গণঅভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তারাই এসব ষড়যন্ত্র করছে।”
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “উত্তরের মানুষ বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত। কিন্তু যদি জনগণ আমাদের পাশে থাকে, তাহলে কোনো জুলুম-অত্যাচার আমাদের ঠেকাতে পারবে না। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন। সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের কোনো অর্থ নেই, এতে অপরাধীরাই আবার সুযোগ পাবে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এর আগে সকালে শহীদ গার্মেন্টসকর্মী সাজ্জাদ হোসেনের কবর জিয়ারত করেন নাহিদ ইসলাম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। পরে তারা সৈয়দপুরের বিহারী ক্যাম্প পরিদর্শন করে সেখানকার সমস্যা শোনেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর এনসিপি নেতারা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিজয় চত্বরে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।